কোমর ব্যথা- Low Back Pain

কোমর ব্যথা

পুরুষের তুলনায় নারীদের কোমর ব্যথায় বেশি ভুগতে দেখা যায়।  যে কোনো বয়সের মানুষেরই এ ধরনের ব্যথা হতে পারে।

এ ধরনের ব্যথায় শরীরচর্চা ও ব্যায়াম খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধও খেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

একটানা চেয়ারে বসে কাজ করার ফলে মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথা হয়। বসে কাজ করার সময় মেরুদণ্ডের জোর ও পেশিগুলোর যে শক্তি প্রয়োজন হয়, তার অনেকটাই হারিয়ে ফেলি আমরা। পরিচর্যার অভাবে বয়স বাড়ার অনেক আগেই ব্যথাজনিত সমস্যায় ভোগেন অনেকে।

৯০ শতাংশ লোক জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভোগেন। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রোনিক ব্যথা এক মাসের অধিক সময় থাকে। উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিলে ৯০ শতাংশ রোগী দুই মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

 

  • ১. দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে একটানা কাজ করার ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই একটানা বসে না থেকে মাঝে মাঝে হাঁটুন।

    ২. গর্ভকালে অধিকাংশ নারীই কোমর ব্যথায় ভোগেন। অনেকের ক্ষেত্রে এ ব্যথাপরবর্তী সময়ে সমস্যা দীর্ঘ হয়। গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বাড়ে, ভারী হয়। তাই পেশি ও সন্ধির ওপর চাপ বাড়ে। ফলে ব্যথা হয়ে থাকে।

    ৩. অস্টিওপরোসিস রোগের কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

    ৪. অতিরিক্ত ওজনের ফলেও ব্যথা হতে পারে। এ জন্য ওজন কমিয়ে ফেলা এবং কিছু হালকা ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন।

    ৫. আমরা এখন অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর। নানা ধরনের ডিভাইস ও গ্যাজেটের সঙ্গেই আমাদের দিন কাটছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা টানা ক্লাস করছে এবং অনেকে অফিসের কাজ করছে ল্যাপটপ বা মোবাইলে। এর জন্য অনেকে নতুন করে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

ব্যথা  কোনো  রোগ নয়, বিভিন্ন রোগের উপসর্গ। তাই কোনো ব্যথাকেই অবহেলা করবেন না। যে কোনো ধরনের ব্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে অল্প অল্প ব্যথা দমিয়ে রাখলে তা পরে তীব্র আকার ধারণ করে আপনাকে আরও বেশি বিপদে ফেলে দিতে পারে। আর অনেক ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনকও। কারণ বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

তাই ব্যথার কারণ নির্ণয়পূর্বক প্রযোজ্য চিকিৎসা; ইলেক্ট্রোথেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি বা আইপিএম শুরু করা উচিত। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ব্যায়াম করতে হবে। ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ব্যথার ওষুধ সেবন করা উচিত না।

একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে অফিসে সঠিক বসার ভঙ্গি নির্ধারণ এবং সঠিক ব্যায়াম, অন্যান্ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র গ্রহন করে কোমর ব্যাথা দূর করা যায় । সেই সঙ্গে পেশির ভারসাম্যহীনতা দূর করার মাধ্যমে রোগীকে ব্যথামুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

পিআরপি সম্পর্কিত ভিডিওসমূহ! ​

1 Videos
0 + পেশেন্ট

পিআরাপি সেবা নিয়েছেন

পেশেন্ট রিভিও
Test 1
Test 1
@teest1
khub valo treatment
test2
test2@username
excellent
Test 3
Test 3
@test 3
Yes recommended